বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার (মোবাইল মানি অর্ডার) সার্ভিস
মোবাইল মানি অর্ডার সার্ভিস
ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (ইএমটিএস) এর মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে দেশের এক প্রান্তে থেকে আরেক প্রান্তে টাকা প্রেরণ করা খুবই সহজ।গ্রাহকের ঠিকানা যাই হোক না কেন তিনি দেশের যে কোন পোস্ট অফিস হতে টাকা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারবেন।বর্তমানে এ সার্ভিসের মাধ্যমে খুবই স্বল্প কমিশনের (০.৫০%) বিনিময়ে লেনদেন করা যায়।
মোবাইল মানি অর্ডার সার্ভিস চালুর তারিখ
বিগত ২৬ মার্চ ২০১০ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক মানি ট্রন্সফার সার্ভিস (ইএমটিএস) এর উদ্বোধন করেন।প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি সজ্জিতকরণ শেষে পোস্ট অফিসগুলোতে ৫ মে ২০১০ তারিখে বর্ণিত সেবাটি চালু করা হয়।
মোবাইল মানি অর্ডারের নেটওয়ার্ক কভারেজ
বাংলাদেশ ডাক বিভাগে ২৮১১ টি পোস্ট অফিসে এ সার্ভিস চালু রয়েছে।দেশের সকল জিপিও,সকল জেলা শহরে অবস্থিত সকল ডাকঘর,সকল উপজেলা ডাকঘর,সাব পোস্ট অফিস,গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ পোস্ট অফিসের নিকট এই সেবা পাওয়া যায়।সার্ভিসে চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন অফিসে সার্ভিস সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কিছু পার্বত্য এলাকা বাদে সারাদেশেই ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার সার্ভিসের আওতায় চলে এসেছে।
ইএমটিএস এর মাধ্যমে প্রদানকৃত সেবার তথ্য
মোবাইল মানি অর্ডারের মাধ্যমে দুস্থ বয়স্ক,রোহিঙ্গা ভাতা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন/ভাতাদি পরিশোদের সুযোগ রয়েছে।উল্লেখ্য যে,বাংলাদেশ সেনাবাহিনির যে সকল সেনা সদস্য দেশের বাহিরে মিশনে রয়েছে তাদের বেতন/ভাতাদি ইএমটিএস এর মাধ্যমে তাদের পরিবার পরিজনের নিকট সফলভাবে প্রদান করে আসছে এবং জার্মান রেডক্রস-বাংলাদেশ দুর্যোগ পূর্ববর্তী পর্যায়ে আর্থিক অনুদানও ইএমটিএস এর মাধ্যমে প্রদান করে আসছে।এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ও ইএমটিএস এর মাধ্যমে আদায় করা হয়।এছাড়া বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের পেনশন এ সার্ভিসের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস (ইএমটিএস) National Digital Innovation Award ২০১১ তে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইএমটিএস e-Finance ক্যাটাগরীতে Champion হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইএমটিএস সেবাটি ভারতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার mBillionth Award ২০১২ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস